“আজবুয যানাব” এক আশ্চর্যজনক বিষয়! আপনি জানেন কী? আসুন একটু সময় ব্যয় করে
জেনে নিন।
মৃত্যুর পরে সমগ্র দেহ ক্ষয় হয়ে পচে গেলেও একটি অংশ রয়ে যায়। পবিত্র হাদীছ
শরীফ অনুসারে এ অংশটির নাম 'আজবুয যানাব’ । ক্বিয়ামতের দিন এ অংশ থেকেই
মানবদেহ আবার তৈরি করে জীবন দেয়া হবে। খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বিশেষ
বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং মৃত দেহগুলি পুনঃগঠিত হতে থাকবে যেমন বৃষ্টি পড়লে সবুজ গাছ
গজিয়ে উঠে।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বেশ কয়েকটি হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে
এই বিষয়ে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন।
(১) পবিত্র হাদীছ শরীফ
উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ،
عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ فِي الإِنْسَانِ عَظْمًا لاَ
تَأْكُلُهُ الأَرْضُ أَبَدًا فِيهِ يُرَكَّبُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ".
قَالُوا أَىُّ عَظْمٍ هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " عَجْبُ الذَّنَبِ".
অর্থঃ হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি
বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন, মানবদেহে একটি হাড় আছে
যেটা মাটি কখনও ভক্ষণ করবেনা এবং এটি
সেই হাড় যা থেকে মানবদেহ পুনর্গঠন করা হবে ক্বিয়ামতের দিনে। অনেকে জিজ্ঞাসা করলেন,
ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটি কোন হাড়? তখন
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন,
এটি হচ্ছে (عَجْبُ الذَّنَبِ) ‘আজবুয যানাব’ (টেইলবোন বা পুচ্ছাস্থি)। [মুসলিম শরীফ, হা/৭১৪৮ (ইফাবা)]
حَدَّثَنَا
أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ
الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا بَيْنَ النَّفْخَتَيْنِ أَرْبَعُونَ
" . قَالُوا يَا أَبَا هُرَيْرَةَ أَرْبَعُونَ يَوْمًا قَالَ أَبَيْتُ
. قَالُوا أَرْبَعُونَ شَهْرًا قَالَ أَبَيْتُ . قَالُوا أَرْبَعُونَ سَنَةً
قَالَ أَبَيْتُ " ثُمَّ يُنْزِلُ اللَّهُ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً
فَيَنْبُتُونَ كَمَا يَنْبُتُ الْبَقْلُ " . قَالَ " وَلَيْسَ
مِنَ الإِنْسَانِ شَىْءٌ إِلاَّ يَبْلَى إِلاَّ عَظْمًا وَاحِدًا وَهُوَ عَجْبُ
الذَّنَبِ وَمِنْهُ يُرَكَّبُ الْخَلْقُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .
অর্থঃ হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু তিনি বর্ণনা
করেছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন, (সিঙ্গা মুবারকে) দুইবার ফু মুবারক দেয়ার মাঝে (বিরতি) থাকবে
৪০। লোকেরা জিজ্ঞাসা করলো হে হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু! এইটা কি ৪০
দিন? তিনি বললেন, আমি উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানালাম। তারা বললো, ৪০ মাস? তিনি
বললেন, আমি উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানালাম; অতঃপর খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক
তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং মৃত দেহগুলি পুনঃগঠিত হতে থাকবে যেমন বৃষ্টি পড়লে
সবুজ গাছ গজিয়ে উঠে। ইনসানের সমস্ত কিছুই ক্ষয় হবে একটি হাড় ব্যতীত এবং এই হাড়টি
হচ্ছে আজবুয যানাব। যা থেকে ক্বিয়ামতের দিন সৃষ্টিকে (মানবদেহকে) পুনঃগঠন করা
হবে। [মুসলিম শরীফ, হা/৭১৪৬ (ইফাবা) ,
বুখারী শরীফ, হা/৪৮১৪ ]
حَدَّثَنَا
أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ، ثَنَا بَحْرُ بْنُ نَصْرٍ، ثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ دَرَّاجٍ،
عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ،
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «يَأْكُلُ
التُّرَابُ كُلَّ شَيْءٍ مِنَ الْإِنْسَانِ إِلَّا عَجْبَ ذَنِبِهِ» قِيلَ: وَمَا
هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «مِثْلُ حَبَّةِ خَرْدَلٍ مِنْهُ يُنْشَأُونَ
অর্থঃ হযরত আবু সাঈদ খুদরী
রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। মাটি মানবদেহের সমস্ত কিছু ভক্ষন করবে
একটা হাড় ব্যতীত- তার নাম হচ্ছে আজবুয যানাব। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জিজ্ঞাসিত হলেন, এটা কি? ইয়া রাসূলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, এটা সরিষা দানার মতো এবং এটা থেকে
মানবদেহ পুনরায় সৃষ্টি করা হবে। [মুসতাদরিক লিল
হাকিম, হা/৮৮০১১, মুসনাদে আহমদ শরীফ, হা/১১২৩১ ]
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উপরোক্ত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এমন
দুইটি তথ্য উল্লেখ করেছেন যা মানুষের চিন্তা-ফিকিরের উর্দ্ধে এবং এ বিষয়টি অতি
সম্প্রতি তথাকথিত বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে পেরেছে।
وَحَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ، - يَعْنِي الْحِزَامِيَّ -
عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " كُلُّ ابْنِ آدَمَ يَأْكُلُهُ
التُّرَابُ إِلاَّ عَجْبَ الذَّنَبِ مِنْهُ خُلِقَ وَفِيهِ يُرَكَّبُ " .
অর্থঃ হযরত আবূ হুরায়রা
রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু হতে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আদম সন্তানের দেহের
সবকিছুই মাটি খেয়ে ফেলে শুধু ‘আজবুয যানাব’ ব্যতীত। যা হতে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে
এবং সেখান থেকেই তাকে (ক্বিয়ামতের দিন) তোলা হবে। [মুসলিম
শরীফ, হা/৭১৪৭ (ইফাবা)]
(১)ভ্রুন অবস্থায় মানবদেহ
গঠনঃ
ভ্রণ তত্ত্বের বিশেষজ্ঞরা
প্রমাণ করেছে যে মানুষের দেহ একটি সুক্ষ্ম সূত্র বা সুতার মত অংশ থেকে তৈরি হয়। যাকে
প্রাথমিক সূত্র বা তন্তু বা The Primary
strand Streak বলা হয়।
খালিক্ব মালিক রব মহান
আল্লাহ পাক তিনি এই সূতার মতো অংশকে এমন ক্ষমতা দিয়েছেন যে, এইটি কোষ বিভাজন শুরু
করতে পারে এবং এক অংশ থেকে আরেক অংশ আলাদা হয়ে প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে
পারে এবং একই রকম টিস্যুগুলো জমা হয়ে একটি পরিপুর্ন অঙ্গ তৈরি করতে পারে।যা একে অপরকে
সহযোগীতা করে দেহের সমস্ত কাজগুলি সম্পন্ন করে।পবিত্র হাদীছ শরীফ উনারই
পুনরাবৃত্তি করে নোবেল বিজয়ী তথাকথিত জার্মান ভ্রুণতত্ত্ববিদ হ্যান্স স্পেম্যানের
এমব্রায়োনিক ইন্ডাকসন বা ভ্রুণ তাত্ত্বিক আবেশন বিশয়টি ব্যাখ্যা করেছে যা উপরের
বর্ণনার সাথে মিলে যায়।
অন্য কথায় হাদীছ শরীফ হতে
চুরি করে তা নিজেদের নামে প্রচার করে বেড়ায়।
ডিম্বাণু হতে বিভাজন
প্রক্রিয়ায় একটা কোষ থেকে দুইটা, দুইটা থেকে চারটা ,এভাবে বৃদ্ধি পেতে পেতে এমব্রায়োনিক
ডিস্ক বা চাকতি গঠিত হয়।সেখানে দুইটি স্তর থাকে।
ক)বাইরের এপিব্লাস্টঃ এর মাধ্যমে ভ্রূণটি
গর্ভাশয়ের দেয়ালে যুক্ত থাকে।যেখান থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিদ্রব্য গ্রহণ করে।
খ) আভ্যন্তরীন হাইপোব্লাস্টঃ এ অংশটি থেকেই ১৫
তম দিনে প্রাথমিক সূত্র দৃশ্যমান হয়। যার একপাশে রয়েছে তীক্ষ্ণপ্রান্ত আর অপরপাশে গ্রন্থি বা গিরা।এখান থেকেই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ
তৈরি হয়।যেমন-
১)এক্টোডার্ম থেকে চামড়া এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র তৈরি হয়।
২)মেসোডার্ম থেকে পেশী, খাদ্য সংবহনতন্ত্র ,হৃদপিণ্ড, রক্ত সংবহন তন্ত্র ,হাড়
প্রজনন তন্ত্র, লিঙ্গ ইত্যাদি তৈরি হয়।
৩) এন্ডোডার্ম থেকে নিউক্লিয়ার পর্দা, শ্বসন তন্ত্র, পরিপাক তন্ত্র,ব্লাডার, থাইরয়েড,
শ্রবণ যন্ত্র ইত্যাদি তৈরি হয়।
চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রাথমিক সুত্রক এবং গ্রন্থি আলাদা হয়ে যায় এবং টেইলবোন বা
পুচ্ছাস্থি গঠন করে।অর্থাৎ টেইলবোনবা পুচ্ছাস্থি ধারণ করে প্রাথমিক সুত্রক ও
গ্রন্থি বা নোড সার এরাই বৃদ্ধি পেয়ে উপরোক্ত ৩টি স্তরে মানবদেহ গঠন করতে সক্ষম। এ
কারণে ব্রিটিশ কমিটি warnek(যারা ভ্রূণনিশিক্তকরণ এবং বংশগতিবিদ্যার কর্মরত)যে সমস্ত
ভ্রূণে প্রাথমিক সূত্র থেকে মানবদেহ গঠন শুরু হয়ে গেছে সে সমস্ত ভ্রূণ এ
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
(২) মৃত্যুর পর ক্বিয়ামতের দিন
মানবদেহের পুনর্গঠনঃ
মানুষের মৃত্যুর পরে সমস্ত কিছু ক্ষয় হয়ে যায় শুধুমাত্র একটি ছোট অংশ ছাড়াযা
মেরুদণ্ডের শেষ প্রান্তে অবস্থিত এজন্যই একে টেইলবোন (কক্সিস)বা পুচ্ছাস্থি বলে। এ
অংশটি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে “আজবুজ যানাব” নামে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রথমেই আমরা জেনে নিই, মারা গেলে একজনের দেহে কি ঘটেঃ পোস্টের ৩ নং পিকচার দ্রষ্টব্য
উল্লেখ্য , সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে এরূপ ঘটে তবে যারা মহান আল্লাহ পাক উনার
অলী উনাদের শরীরের কোন অংশে পচন ধরে না। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র কুরআন শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
وَلَا تَقُولُوا لِمَنْ يُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتٌ بَلْ
أَحْيَاءٌ وَلَكِنْ لَا تَشْعُرُونَ
অর্থঃ নিশ্চয়ই যারা মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় ইন্তেকাল করেছেন উনাদেরকে
মৃত বলো না বরং উনারা জীবীত। ( পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফঃ পবিত্র আয়াত শরীফ
১৫৪)
যখন মানুষ ,আরা যায় তখন তার পুরা দেহ ক্ষয় হয় ‘আজবুয যানাব’ অংশটা ছাড়া। পবিত্র
হাদীছ শরীফ উনার মাঝে এভাবেই উল্লেখ আছে। মানুষকে পুনরায় তৈরি করা হবে ঠিক যেমন
বীজ থেকে চারা গজায়। এই প্রক্রিয়াটা ক্বিয়ামতের দিন ঘটবে। যখন মহান আল্লাহ পাক
উনার ইচ্ছায় আকাশ থেকে বিশেষ রকম বৃষ্টি বর্শিত হবে।
ডাঃ উসমান আল জিলানী এবং শেখ আব্দুল মাজিদ আযযানদানী উনারা এ আজবুয যানাব বা
টেইলবোন এর উপর ১৪২৪ হিজরী পবিত্র রমাদ্বানা শরীফ মাসে ( ২০০৩ ঈসায়ী সনে) ইয়েমেনের
সান’আ শহরে শেখ আব্দুল মাজিদ আযযানদানী উনার বাসগৃহে অনেকগুলো পরীক্ষা- নিরীক্ষা
করেন। ৫ টি টেইলবোনের ২ টি ভারট্রিবা এর ১
টিকে গ্যাস প্রজ্জ্বলিত অগ্নিশিখায় ১অ মিনিট পোড়ানো হয়েছিল যতক্ষণ না পুরোটা আগুনে
দগ্ধ হয়। প্রথমে লাল আভা দেয় পরে কাল বর্ণ
ধারণ করে। তারা পুরো অংশটুকুকে জীবাণু নিরোধ বক্সে করে সান’আ শহরের আল ওলাকি ল্যাবে
নিয়ে যান। ডাঃ সালেহ আল ওলাকি যিনি সান’আ ইউনিভারসিটির হিস্টোলজি ও প্যাথলজি
অধ্যাপক ,তিনি এই টুকরাগুলোকে পড়ীক্ষে করে বের করেন যে এই হাড়গুলির কোষগুলি কোন
প্রকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আগুনের শিখার মাঝেও টিকে আছে। শুধুমাত্র পেশী, চর্বি ,
অস্থিমজ্জা পুড়েছে কিন্তু টেইল্বোনের কোষগুলো কোন প্রকার ক্ষতিগ্রস্ত হয় নি।
এছাড়াও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এরকম বর্ণনাও রয়েছে , নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এক ব্যক্তি এক প্রাণির লেজের হাড় আনে এবং হাড়টির কিছু
পরিবর্তন ঘটায়। তখন সে বলে , আপনি কি দাবী করেন এই অংশ থেকেই সবাইকে আবার পুনর্গঠন
করা হবে? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি উত্তর মুবারক করলেন , হ্যা, অবশ্যই ।অর্থাৎ আজবুয যানাব বা টেইলবোন বা কক্সিস
থেকে দেহ গঠনের মূল তত্ত্ব কখনোই হারিয়ে যায় না।
সহজ কথায়, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এটা বলা হয়নি যে, এই হাড়ের টুকরাটার
মকোন পরিবর্তন হবেনা।বরং পবিত্র হাদীছ শরীফ এ বিষয়টিকে জোর দেয়া হয়েছেযে , এ অংশটি
তার গঠন বৈশিষ্ট্য সংরক্ষিত রাখে। যার মূল তত্ব থেকে মানবদেহ পুনর্গঠন হবে।
এছাড়া একদল চায়নিজ বিজ্ঞানী তাদের
ল্যাবে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমান করেছেন যা , মেরুদণ্ডের এই শেষ অংশটি
টেইলবোন /আজবুয যানাব পুরোপুরি ধ্বংস হওয়া অসম্ভব। তারা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছে-
যেমন শক্তিশালী এসিডে দুবিয়ে দ্রুবিভুত করতে , আগুনে পোড়াতে , ভেঙ্গে ফেলতে এবং
বিভিন্ন রেডিয়েশন দ্বারা প্রভাবিত করতে কিন্তু প্রত্যেকবার আজবুয যানাবের মূল গঠন
বৈশিষ্ট্য অক্ষত থাকে। সুবহানাল্লাহ!
অথচ , নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি , ১৪০০ বছর আগেই সমস্ত
পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই এ সত্য বিষয়টি জানিয়েছেন।সুবহানাল্লাহ!
যা উনার একটি মহাসম্মানিত ইলমে গ্বাইব ও বিশেষ মু’জিযা শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত।
সুবহানাল্লাহ!