সূর্য যে তার নিজের আলো বিকিরণ করে তা ছোটবেলা থেকে আমরা জেনেএসেছি। আসলে সূর্যের এই আলো তার নিজস্ব আলো নয়। শুধু সূর্য় নয়, এইমহাবিশ্বে(Univers) যা কিছু আছে তার কারই নিজস্ব কোন মৌলিক শক্তি নেই।কেবল আছে শক্তি বিকিরণের, পরিবহন ও আদান প্রদানের ক্ষমতা।মহাবিশ্বের যে চারটি মৌলিক শক্তি, বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় শক্তি, দুর্বল পারমানবিকশক্তি, শক্তিশালী পারমানবিক শক্তি আর মহাকর্ষ বল তা ও যে মৌলিক শক্তি,ঠিক তা নয়। এই সব শক্তিকে কার্যকারী বা সচল রাখতে অন্য শক্তিরপ্রয়োজন হয়।
এই সব সকল শক্তিকে মুলত কার্যকর করে একটি মৌলিক শক্তি, যা আল্লাহতায়ালার জ্যোতি। আল কুরআনের সূরা নূরের ৩৫ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে
‘আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের জ্যোতি’
আল্লাহর জ্যোতি মুলত স্থান ও কাল(space
and time) তৈরী করে। অথ্যাৎ এইজ্যোতি বা আলো যতদুর পর্যন্ত বিস্তৃত স্থানের কাঠামো(Fabrics
of Space) ওততদুর পর্যন্ত বিস্তৃত।
নিউটনের Genearl Scholium গ্রন্থে বলা হয় স্থান হল শক্তিময় একটি ক্ষেত্র যামুলত বস্তুকে ধারন ও সৃষ্টি করে। স্থান ছাড়া কোন বস্তুর অস্থিত্য অসম্ভর।
এই মহাবিশ্বে যত শক্তির উৎস আছে তা মুলত আল্লাহর এই জ্যোতি থেকেপ্রাপ্ত।
এই জ্যোতির বর্ননা দিতে কুরআনে বলা হয়েছে
আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের জ্যোতি, তাঁর জ্যোতির উদাহরণ যেন একটিকুলঙ্গি, যাতে আছে একটি প্রদীপ, প্রদীপটি একটি কাঁচপাত্রে স্থাপিত,কাঁচপাত্রটি উজ্জ্বল নক্ষত্র সদৃশ্য। তাতে পুতঃপবিত্র যয়তুন বৃক্ষের তৈলপ্রজ্বলিত হয়, যা পূর্বমুখী নয় এবং পশ্চিমমুখীও নয়। অগ্নি
স্পর্শ না করলেও তার তৈল যেন আলোকিত হওয়ার নিকটবর্তী। জ্যোতিরউপর জ্যোতি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ দেখান তাঁর জ্যোতির দিকে। আল্লাহমানুষের জন্যে দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করেন এবং আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
এই আয়তে এমন কিছু বিষয়ের ইংগিত আছে যা জ্যোতিবিজ্ঞানের অনেকঅমিমাংসিত বিষয়ের সমাধান।
মহাবিশ্বের অসংখ্য নক্ষত্র কে এখানে কাচের আবরণের সাথে তুলনা করাহয়েছে, যখনি এর মধ্যদিয়ে আল্লাহর জ্যোতি প্রবেশ করে তখন ইহার ভিতরেথাকা জ্বালানি জ্বলতে থাকে আর দৃশ্যমান আলো বিতরণ করে।
মজার ব্যপার হল, আমাদের দৃশ্যমান আলো তাপ যুক্ত কিন্তু আল্লাহর নুর বাজ্যোতি শীতল । কোন পদাথের মধ্য দিয়ে ভেদ করে গেলেও কোন তাপউৎপাদন করেনা। এই কারনেই মহাবিশ্বের পরম তাপমাত্রা হিমাংকেরকাছাকাছি আর অসংখ্য নক্ষত্র তাপ বিকিরণ করলেও মহাবিশ্বের তাপমাত্রারকোন পরিবর্ত হয়না। এই শীতল আলোকেই জয়তুনের সাথে তুলনা করেছেন।
মুলত আল্লাহর জ্যোতি সকল পদার্থ ভেদ করার সময় পদার্থের গুন অনুসরেপ্রত্যকেই তার উপজাত শক্তি যোগায় দিয়ে থাকে। অথ্যৎ যে পদার্থের যেমনশক্তি প্রয়োজন।
আল্লাহর এই জ্যোতি নিদৃষ্ট কোন দিক থেকে আগত বা নির্গত নয়। এটা পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর বা দক্ষিন নয়। আল্লাহর জ্যোতি সুষম ভাবে চারদিকে প্রবাহিত।
জ্যেতির মধ্যে জ্যোতি(Light
Upon Light) বলতে আল্লহর যে জ্যেতি আমাদেরমাঝে জ্বালিয়ে রেখেছেন তার বিভিন্ন স্তরের কথা বলেছেন।
মুলত আলোর বিভিন্ন স্তর রয়েছে, একেক স্তরের গুনাগুন আর বৈশিষ্ট একেকরকম। এক প্রকার আলোই শুধু আমাদের দৃশ্যমান হয়, এই দৃশ্যমান আলোওআসলে মুল জ্যোতি নয় আল্লাহর জ্যোতির উপজাত।
a
0 comments:
Post a Comment