Pages

Monday, February 13, 2017

হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি আধুনিক বিজ্ঞানের সূচনাকারী



পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “আমি ইলম উনার নগরী আর হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি সেই নগরীর প্রবেশদ্বার।

তাই দেখা যায়, হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন একদিকে জিহাদের ময়দানের মহাবীর, অন্যদিকে মৌলিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের উদ্ভাবক এবং একাধারে একজন সাহিত্য সমৃদ্ধ সুলেখক- এ ত্রিমাত্রিক গুণের সমন্বয় বিশ্ব ইতিহাসে বিরল।


দরবারে নববী শরীফ উনার মাঝে তিনি জ্ঞানের সমস্ত বিষয়ে ওয়াজ নছীহত মুবারক প্রদান করতেন। অর্থাৎ ইলমুল ফিকহ, ইলমুত তাসাউফ, তাফসীর, হাদীছ শরীফ, ফারায়েজ, অলঙ্কার শাস্ত্র, ন্যায় শাস্ত্র, দর্শন, বিজ্ঞান, সাহিত্য, সংখ্যা বিজ্ঞান ইত্যাদি সমস্ত বিষয়ে তালিম দান করতেন।
আরবী ভাষা সহজ পাঠ করতে হরকত চিহ্ন (যের, যবর, পেশ ও তাশদীদ, সাকিন চিহ্ন) উনারই আবিষ্কার। পরবর্তীকালে উনার আবিষ্কারই বীজগণিতের সাংকেতিক চিহ্নের ক্ষেত্রে গোড়াপত্তন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যা একান্তই উনার নিজস্ব অবদান।



শুধু তাই নয়, উনার রসায়ন বিজ্ঞানের উপরে ১টি শের মুবারক নিম্নরূপ :
যুজ আল ফারার ওয়তি তালাক
ওয়াশ্ শাইয়ান আশবাহুল বারাক
ইজাসাম জালাত ওয়া আস কাহাত
মালাক তাল গারার ওয়াশ শারার
অর্থ:পারদ ও অভ্র একত্র করে যদি বিদ্যুৎ ও বজ্রসদৃশ কোনো বস্তুর সঙ্গে সংমিশ্রণ করতে পার, তাহলে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মালিক হতে পারবে।


অধুনা বিজ্ঞানের চরম বিকাশের যুগে যেখানে অনেক গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে, ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রনের মধ্যে শক্তিশালী ইলেকট্রিক ফিল্ডের মাধ্যমে এই তিন কণার পরিবর্তন করে যে কোনো পদার্থের মৌলিক গঠনগত পরিবর্তন করা সম্ভব। সেই ইঙ্গিতই তিনি দিয়ে গেছেন। (সুবাহানাল্লাহ!)
মূলত, হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি-ই আধুনিক বিজ্ঞানের জনক।
সূত্র: দৈনিক আল ইহসান

0 comments:

Post a Comment

 

Blogger news

Blogroll

About