জ্যোতির্বিজ্ঞান হচ্ছে পৃথিবীর বাইরের জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তুসমূহ (Astronomical/ Celestial Objects), যেমন- গ্রহ (Planets), নক্ষত্র (Stars), ধূমকেতু (Comets), নীহারিকা (Nebula), নক্ষত্রপুঞ্জ (Star Clusters), ছায়াপথ (Galaxy), প্রভৃতি এবং বিভিন্ন জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনা (Astronomical Phenomenon) সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
অন্যদিকে জ্যোতিষশাস্ত্র হলো কিছু পদ্ধতি, প্রথা এবং বিশ্বাসের সমষ্টি যাতে মহাকাশে জ্যোতিষ্কসমূহের আপেকি অবস্থান এবং তৎসংশ্লিষ্ট তথ্যাদির মাধ্যমে মানব জীবন, মানুষের ব্যক্তিত্ব এবং মানবীয় ও বহির্জাগতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয় প্রাচীনকালের বিজ্ঞানীদের মাঝে এই দুই শাস্ত্রের সমান্তরাল চর্চা দেখতে পাওয়া যায়। তবে বিজ্ঞানের অনগ্রসরতা, গোঁড়ামি এবং সাধারণ মানুষের বিজ্ঞানবিমুখিতা গ্রহ-নত্রের পাঠকে ঠিক মতো বৈজ্ঞানিক ধারায় চালিত হওয়ার সুযোগ দেয়নি। মুসলমানদের মাঝেও এই দুই শাস্ত্রের চর্চা প্রথম শুরু হয়। উনারা এই চর্চাকে শুধুমাত্র বিজ্ঞানের পর্যায়েই উন্নীত করেননি, বরং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন তত্ত্ব ও যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের মাধ্যমে একে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, যা এক কথায় অভূতপূর্ব। কেমন করে এটি সম্ভব হলো, তা নিয়ে আলোচনা থাকছে এখন।
জ্যোতির্বিজ্ঞানে মুসলমানদের আবিষ্কার এবং অর্জন এত ব্যাপক এবং এত বেশি সময় ধরে বিস্তৃত যে, স্বল্প পরিসরে তার বর্ণনা দিতে গেলে অনেক তথ্যই হয়তো বাদ পড়ে যাবে। তারপরেও স্থানাভাবে এখানে কেবলমাত্র একেবারেই বর্ণনা না করলেই নয়, এমন আবিষ্কার নিয়ে এখানে আলোচনা করা হবে। সন্দেহ নেই, পৃথিবীর অন্যান্য স্থানের মতো আরবেও জ্যোতিষশাস্ত্র চর্চা সুপ্রাচীনকাল হতেই চলে আসছিল। এছাড়া, পেশাগত জীবনে ব্যবসায়ী এমন আরববাসীর সংখ্যা নিতান্তই কম ছিল না। ফলে, স্থল ও জলপথে বাণিজ্য পরিচালনাকালে আকাশের তারকা দেখে পথনির্দেশনা লাভের বিদ্যা নিশ্চয়ই কিছু পরিমাণে ছিল না? কিন্তু, এই জ্ঞান ও এর চর্চা দিয়ে আর যাই হোক, জ্যোতির্বিজ্ঞানী হওয়া সম্ভব ছিল। প্রথম যাত্রা শুরু হয়, অত্যন্ত স্বল্প সময়ে একটি বিশাল ভূখণ্ড (প্রায় ১৩,০০০,০০০ বর্গকিলোমিটার) মুসলমানদের অধিকারে এসে যাওয়ার পর। এই বিশাল অঞ্চলব্যাপী বিস্তৃত মুসলমানদের ইসলামী সব বিষয়ই সরাসরি চন্দ্র-সূর্য এবং দিকের সাথে সম্পর্কিত ছিল। এ সমস্যা সমাধান করতে গিয়েই জ্যোতির্বিদ্যার বৈজ্ঞানিক চর্চার সূত্রপাত এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রায় সকল মুসলমান বিজ্ঞানী আর যে েেত্রই অবদান রাখুন না কেন, চেষ্টা করেছেন এ বিষয়ে অবদান রাখতে। উনারা একের পর এক অনুবাদ করেছেন, গবেষণা চালিয়েছেন, জিজ্ (তল) লিখেছেন। উল্লেখ্য যে, জ্যোতির্বিদ্যার উপর মুসলমানদের লিখিত বইগুলো জিজ্ নামেই বেশি পরিচিত।
স্পষ্টতইঃ নানান অঞ্চলের নানান ভাষার জ্যোতির্বিদ্যার গ্রন্থের আরবী অনুবাদ দিয়ে শুরু পথ চলা। এেেত্র প্রথমেই যে নামটি আসে, তা হচ্ছে ইয়াকুব ইবনে তারিক। তিনি এবং আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে ইব্রাহিম আল-ফাজারী মিলিতভাবে তথ্য সংগ্রহ করে ‘আজ জিজ্ আল-মাহ্লুল মিন আস্-সিনহিন্দ্ লি-দারাজাত্ দারাজা’ রচনা করেন। অবশ্য, কাজের শুরুটা করেন পূর্বোক্ত মুহাম্মাদ আল ফাজারীরই পিতা ইব্রাহীম আল ফাজারী। এর সাথে সাথে গ্রীক ‘আল-ম্যাজেস্ট’(ল্যাটিন- Almagest; আরবী, al-kitabul-mijisti) এবং এলিমেন্টস্ (Elements)সহ অন্যান্য গ্রন্থ একের পর এক আরবীতে অনূদিত হতে থাকায় প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের ঘুমিয়ে থাকা জ্যোতির্বিদ্যার জ্ঞানভাণ্ডার একসাথে যেন মুসলমানদের সামনে খুলে যায়। এর পরেই এেেত্র আবির্ভূত হন বিজ্ঞানের জগতের সর্বকালের এক মহান দিকস্রষ্টা আবু আব্দুল্লাহ্ মুহম্মদ ইবনে মুসা আল-খোয়ারিজ্মি, গণিতে যাঁর অবদানকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। জ্যোতির্বিজ্ঞানেও এই গণিতবিদের মৌলিক আবিষ্কার রয়েছে। উনার রচিত ‘জিজ্ আল-সিন্দ্হিন্দ্’ (তল Al-Sindhind- Astronomical tables of Sind and Hind) এেেত্র এক অনন্যসাধারণ গ্রন্থ যাতে তিনি প্রায় ৩৭টি অধ্যায় এবং ১১৬টি ছক সুশৃঙ্খলভাবে উপস্থাপন করেছেন। উনার রচনায় ভারতীয় উৎস হতে অবাধে তথ্য সংগ্রহ করেছেন এবং ব্যবহার করেছেন। চন্দ্র, সূর্য ও সে আমলে জানা পাঁচটি গ্রহের গতিবিধি, চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ, ঋতু পরিবর্তন নিয়ে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। একই সময়ে আহমদ ইবনে আব্দুল্লাহ হাবাশ আল-হাসিব আল মারওয়াজি উনার The Book of Bodies and Distances গ্রন্থে পৃথিবী, চন্দ্র ও সূর্যের পরিধি, ব্যাস ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য হিসেব করেন। আবু আল-আব্বাস আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে কাসীর আল-ফারগানী হচ্ছেন সেসময়ের পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ জ্যোতির্বিদ। তিনি ৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে আল-ম্যাজেস্টের সংপ্তি ভাষ্য লিখেন যা দ্বাদশ শতকে Elements of astronomy on the celestial motions শিরোনামে ল্যাটিনে অনূদিত হয় এবং অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করে। সমসাময়িককালে আরো যাঁরা জ্যোতির্বিজ্ঞানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন তাঁদের মধ্যে সাবিত ইবন্ েক্বরাহ্, জাফর ইবনে মুহাম্মাদ আবু মাশার আল-বল্খী এবং বনু মুসা ভ্রাতৃত্রয়ের অগ্রজ আবু জাফর মুহাম্মাদ ইবন্ েমুসা আল-শাকির নাম নিতেই হয়।
এতণ পর্যন্ত যে সব তথ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা প্রধানত টীকা-ভাষ্যের মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু, এর পরে যা হলো তা এক কথায় অভূতপূর্ব। সময়ের অতি স্বল্প পরিসরে মুসলমানদের মাঝে জ্যোতির্বিজ্ঞানে মৌলিক অবদান রাখা ব্যক্তিবর্গের সংখ্যা এত বেশি যে, মাঝে মাঝে রূপকথা কিংবা অতিকথন মনে হয় অনেকের!
এেেত্র প্রথমেই যিনি আসেন তিনি আবু আব্দুল্লাহ, মুহাম্মাদ ইবনে জাবির ইবনে সিনান আল-বাত্তানী। মুসলমানদের বিজ্ঞানের ইতিহাসে উনাকে সর্বশ্রেষ্ঠ জ্যোতির্বিদও বলেন কেউ কেউ। কোন প্রকার টেলিস্কোপের সাহায্য ছাড়াই কেবল খালি চোখের পর্যবেণ এবং গণিতের প্রয়োগে তিনি সে সময়েই এক সৌর বছরের (One Solar Year) মান হিসেব করেন, যার সাথে আজকের দিনের আধুনিকতম হিসেবের (৩৬৫দিন ৫ ঘণ্টা ৪৯ মিনিট ৩০ সেকেন্ড) সাথে মাত্র তিন মিনিটের গরমিল পাওয়া গিয়েছে। তিনিই আপন অে পৃথিবীর ঝুঁকে থাকার পরিমাণ হিসেব করেন, যা আধুনিক হিসেবের সাথে মাত্র অর্ধডিগ্রি বেশি! ৫৭টি অধ্যায় সম্বলিত উনার ‘আল-জিজ্ আল-সাবী’ একটি অসাধারণ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক সংকলন যা ষোড়শ’ শতকে De Motu Stellarum নামে ল্যাটিনে অনূদিত হয় এবং পাশ্চাত্য জ্যোতির্বিদ্যার উত্তরণে সরাসরি অবদান রাখে। তারপরেও, তিনি সেই তিনি দুর্ভাগা বিজ্ঞানীত্রয়ের একজন কোপার্নিকাসের সৌর মডেলে যাঁদের অবদানকে ইচ্ছাকৃতভাবে উপো করা হয়েছে।
মুসলিম দর্শনের অন্যতম পুরোধা আবু নার্স আল-ফারাবী জ্যোতির্বিজ্ঞানের দিকেও হাত বাড়িয়েছিলেন। তবে, গ্রীকবিজ্ঞান দ্বারা প্রভাবিত উনার দার্শনিক পরিচয়ের নিচে সে সব অবদান খুব বেশি মাথা তুলতে পারে নি। আবদুর রহমান আল-সুফী সে সময়ের আরেক প্রখ্যাত জ্যোতির্বিদ। Book of Fixed Stars উনার অমর গ্রন্থ। আমাদের আকাশগঙ্গা (Milky Way) ছায়াপথের সবচেয়ে নিকটবর্তী ছায়াপথ অ্যান্ড্রোমিডা (Andromeda) আবিষ্কারের কৃতিত্ব অনেকে উনাকেই দিয়ে করেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানে একটি অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্র অ্যাস্ট্রোল্যাবের (Astrolabe) অন্ততঃ ১০০০টি ভিন্নধর্মী ব্যবহার তিনি বর্ণনা করেন। আবু মাহমুদ খুজান্দী নিজের মতো করে পৃথিবীর ঝুঁকে থাকার পরিমাণ (Axial Tilt) হিসেব করেন যা ফারাবীর কাছাকাছিই আসে। উনার বিস্তৃত কাজের বিবরণ পাওয়া যায় পরবর্তী সময়ের বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ নাসিরউদ্দীন তুসীর লেখায়। তবে, ৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে উনার যে আবিষ্কারটি জ্যোতির্বিজ্ঞানের একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়, তা হচ্ছে সেক্সট্যান্ট (Sextant) যন্ত্র। জ্যোতির্বিজ্ঞানে আবদুর রহমান ইবন্ েআহ্মদ ইবন্ েইউনুস আরেকটি অবিস্মরণীয় নাম। উনার ‘আল-জিজ্ আল-কবির আল-হাকিমী’ একটি মৌলিক গ্রন্থ যার অর্ধেকই বিনষ্ট হয়ে গিয়েছে বা চুরি হয়ে গেছে। এ গ্রন্থে তিনি ৪০টি গ্রহ সমাপতন (Planetary Conjunction) এবং ৩০টি চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse) সম্পর্কিত ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।
খ্রিস্টীয় একাদশ শতক মুসলমানদের বিজ্ঞানের জগতে এক রতœগর্ভা শতাব্দী। ইবনেুল হাইছাম, আল-বিরুনী এবং ইবনে সীনার মতো তিন তিনজন শাহানশাহী বিজ্ঞানীর আবির্ভাবে ধন্য এ শতক। আলোকবিজ্ঞানে অসামান্য সংযোজন ‘কিতাবুল মানাজির’-এর ১৫-১৬ অধ্যায়ে ইবনুল হাইছাম (৯৬৫-১০৩৯) জ্যোতির্বিদ্যার আলোচনা রেখেছেন। এছাড়া উনার মিযান আল-হিক্মাহ্ (Balance of Wisdom) এবং মাক্বাল ফি দ্য আল-ক্বামার (On the Light of the Moon) গ্রন্থদ্বয়ে তিনি সর্বপ্রথম গাণিতিক জ্যোতির্বিদ্যা এবং পদার্থবিদ্যার সমন্বয় সাধনের চেষ্টা চালান।
আবু রায়হান মুহাম্মাদ ইবন্ েআহ্মাদ আল-বিরুনী (৯৭৩-১০৪৮) অন্যান্য বিষয়ের সাথে সাথে জ্যোতির্বিজ্ঞানে অবদান রাখতেও ভোলেননি। সকল বস্তুই ‘পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে আকৃষ্ট হয়’- এ বাক্যের মাধ্যমে তিনি মাধ্যাকর্ষণ শক্তির (Gravity) ধারণা দেন (কিন্তু পরে এেেত্র এর আবিষ্কারের কৃতিত্ব পায় হিংসাবশত: বিজ্ঞানী নিউটন)। তিনি বিশুদ্ধ বিজ্ঞানের উপর ‘কানুন মাস্উদী’ নামে একটি বিশাল গ্রন্থ রচনা করেন, যার চতুর্থ খণ্ডটি জ্যোতির্বিজ্ঞানের আলোচনায় পূর্ণ। এতে জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং ত্রিকোণমিতিকে তিনি একই সঙ্গে ব্যবহার করে উভয়েরই উন্নতি সাধন করেন। দ্রাঘিমা, অরেখা, সূর্যাস্ত, সূর্যোদয়, দিক নির্ণয় ও গ্রহ-নত্রের অবস্থানজ্ঞাপক সংজ্ঞা নির্ণয়ে এ খণ্ডের অধিকাংশ পৃষ্ঠা ব্যয় হয়েছে। স্থানাংক নির্ণয়ে আংশ (Latitude) এবং দ্রাঘিমাংশের (Longtitude) ব্যবহারের শুরুটা উনার হাত দিয়েই হয়। তিনি সে যুগেই প্রায় নিখুঁতভাবে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ নির্ণয় করেন যা আজকের দিনের পরিমাপের চেয়ে মাত্র ৩২ কিলোমিটার কম। অ্যারিস্টটলের পৃথিবীকেন্দ্রিক (Geo-centric) বিশ্ব ধারণার তিনি একজন কড়া সমালোচক তথা ভুল প্রমাণ করেন। এভাবে আল-বিরুনীর হাত দিয়েই সুস্পষ্টভাবে জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং জ্যোতিষশাস্ত্রের পথ আলাদা হয়ে যায়। অবশ্য, আল-বিরুনী এখানেই থেমে যাননি, বরং চান্দ্র-সৌর দিনলিপি (Lunisolar Calendar), তারকাদের অবস্থানমাপক যন্ত্র (Planisphere) এবং প্রাথমিক গতিমাপক যন্ত্র (Odometer) উনার হাতেই আবিষ্কৃত হয়। এছাড়া তিনি অ্যাস্ট্রোল্যাব এবং সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের উন্নতিসাধন করেন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের অমর সাধক ইবন্ েসীনা (৯৮০-১০৩৭) শুক্র (Venus) গ্রহের উপর প্রচুর কাজ করেছেন। সূর্য থেকে দূরত্বের দিক থেকে শুক্র গ্রহ পৃথিবীর চেয়ে কাছে- এটি উনার আবিষ্কার। তিনিও জ্যোতির্বিদ্যাকে জ্যোতিষশাস্ত্র থেকে আলাদা করে দেখতেন। তিনিও আল-ম্যাজেস্টের একটি ভাষ্য রচনা করেন। গ্রহসমূহের আবর্তনকালে টলেমী প্রস্তাবিত মডেলে যে সমস্যাটি অ্যাকোয়েন্ট সমস্যা (equant problem) নামে পরিচিত, ইবনে সীনা তার একটি সমাধান বের করেন বলে জানা যায়।
জ্যোতির্বিজ্ঞানে মুসলমানরা কতদূর আবিষ্কার রেখেছেন তা উপরের লেখা থেকে সহজেই আন্দাজ করা যায়। কিন্তু, এগুলো পুরো অবদানের প্রথম অংশ মাত্র! ইবনে সীনার পরে আরো চার শতক ধরে এেেত্র মুসলমানরা অপ্রতিদ্বন্দ্বী অবস্থানে ছিলেন।
0 comments:
Post a Comment